গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) “উদ্ভিদজাত পলিস্যাকারাইড ও রঞ্জক ব্যবহার করে জৈব অবক্ষয়যোগ্য বুদ্ধিমান প্যাকেজিং উন্নয়ন” শীর্ষক এক উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।
কর্মশালাটি উচ্চশিক্ষা ত্বরান্বয়ন ও রূপান্তর (হিট) প্রকল্পের অর্থায়নে এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. মো. নাহিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হয়।
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি কে এম মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হিট প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ময়নুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সাফিউল ইসলাম আফরাদ।
এছাড়া বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গুলজারুল আজিজ এবং হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার।
কর্মশালার শুরুতে খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আমদাদুল হক স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড. মো. নাহিদুল ইসলাম। তিনি দেখান, কীভাবে উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত পলিস্যাকারাইড ও প্রাকৃতিক রঞ্জক ব্যবহার করে স্মার্ট সেন্সরভিত্তিক প্যাকেজিং তৈরি করা যায়, যা খাদ্যের সতেজতা বা নষ্ট হওয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে রঙের মাধ্যমে শনাক্ত করতে সক্ষম।
আলোচনাসভায় অংশগ্রহণকারীরা দেশে স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব খাদ্যপ্যাকেজিংয়ের সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, “এই প্রকল্প দেশীয় প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমাবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি কে এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “খাদ্য নিরাপত্তা শুধু পুষ্টির বিষয় নয়, এটি পরিবেশ রক্ষার সঙ্গেও সম্পর্কিত। আমাদের গবেষণা প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই উদ্ভাবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।” তিনি প্রকল্পের উদ্ভাবনসমূহের পেটেন্ট নিবন্ধন ও সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
কেকে/ আরআই