কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অনলাইনে ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঠেকাতে মৌলভীবাজার শহরসহ জেলার সব উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর বেলা থেকেই চৌমুহনাসহ মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠন ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতব্যাপী মৌলভীবাজার শহরের বাসস্ট্যান্ড, শাহ মোস্তফা সড়ক, চৌমুহনা, কোর্ট রোড ও কুসুমবাগ এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী ছাত্র শিবির ও জাতীয় নাগরিক পাটির্র (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘লীগ ধর, জেলে ভর’ স্লোগানে কাঁপিয়ে তুলেন পুরো শহর। এছাড়াও এনসিপি, যুব শক্তি ও ছাত্র শক্তির নেতাকর্মীরাও রাত জেগে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পাহারা দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা চত্বরে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮ দলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৌর জামায়াতের উদ্যেগে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। আওয়ামী নৈরাজ্য ঠেকাতে সকাল থেকেই শ্রীমঙ্গল শহরে উপজেলা বিএনপি এবং ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দলের অঙ্গ নেতা কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়া ভোররাত থেকে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। জেলার কমলগঞ্জ, বড়লেখা উপজেলাসহ সকল উপজেলাজুড়ে বিএনপি,জামায়াত, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোথাও নাশকতার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, মৌলভীবাজার-৩ আসনের পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ ও পলাতক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের ফেসবুক পেজ থেকে লকডাউনের সমর্থনে ভুয়া ভিডিও ও কিছু ফেক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করলেও খোঁজ নিয়ে এর সত্যতা মেলেনি। আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপি ফেসবুকে নেতাকর্মীদের উস্কে দিয়ে এবং অর্থায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের মাঠে সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলায় দুষ্কৃতকারীদের নৈরাজ্য ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেনাবাহিনীসহ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে যেকোনো অপতৎপরতা ঠেকাতে সড়কে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে।
জেলা প্রশাসন বলছে, ‘যে কোনো ধরনের নাশকতা বা অস্থিতিশীলতা মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
কেকে/ এমএ