ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে পীরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মিঠুসহ তার লোকজন আটক কৃতদের মধ্যে তার আত্মীয় দু্ইজনকে ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ করলে ওসি এরশাদুল হক তার সুপারিশ প্রত্যাখান করেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) গভীর রাতে রাণীশংকৈল থানায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় মিঠুসহ তার লোকজন ওসির ওপর চড়াও হয়ে তাকে হুমকি প্রদান করে বলেন—বেটা তুই বাংলাদেশের যে প্রান্তে যাবি তোকে দেখে নেব। ওসি এরশাদুল হক এমন কথা বলেন সাংবাদিকদের। ওসি বলেন, আটককৃতরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাদের দলীয় মামলায় আটক করা হয়েছে।
ওসি এরশাদুল বলেন, “তাদের আটক করার কারণে তাকে যুবদলনেতা মিঠু বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করে। অপমানজনক কথাবার্তা ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
যুবদল সভাপতি মিঠু বলেন, “তার সাথে ওসির কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে আটককৃত হামিদুর রহমান ও সারওয়ার লিয়ন তার আত্মীয়। তারা কোন দল করে না। তারা ব্যবসা করে। তাদের ছেড়ে দেওয়ার আস্বস্ত করেছিল ওসি। দুঃখের বিষয় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখে তাদের। পরে আটককৃতদের নামে মামলা রুজু করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এ নিয়ে ওসি এরশাদুল হকের সাথে বাকবিতন্ডা হয় তার।”
আটককৃতরা হলেন—১নং ধর্মঘড় ইউনিয়নের ভরনিয়া সম্পদ বাড়ি গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মো. খলিলুর রহমান (৫০), উপজেলার সালফারাম গ্রামের এনামুল হকের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান ওরফে জেনারুল (৪০), ৫নং বাচোর ইউনিয়নের রাজোর গ্রামের পিতা মৃত বদির উদ্দিনের ছেলে মো. হামিদুর রহমান (৬০), একই গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে মো. সারোয়ার লিয়ন(৩২)। তাদের দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
কেকে/এজে