ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম, দুর্নীতি, দালালের দৌরাত্ম ও সিন্ডিকেটের অভিযোগ তুলে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এনসিপি নেতাসহ তিনজন হামলার শিকার হয়েছেন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- এনসিপির ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী ও ময়মনসিংহ জেলা এনসিপির সদস্য মো. মোজাম্মেল হক, জেলা এনসিপির সংগঠক মাসুম বিল্লাহ ও ছাত্রশিবির কর্মী শিহাব উদ্দিন। তাদের মধ্যে এনসিপি নেতা মোজাম্মেল হককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা হাসানুর রহমান সজিব ও মোহাইমিনুল ইসলাম শিহাব বলেন, “হাসপাতালের দুর্নীতি, অনিয়ম, দলাল চক্র ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণের ব্যানারে মানববন্ধনে অংশ নিতে গেলে একটি দালাল চক্র এবং হাসপাতালের স্টাফদের কিছু লোক এনিসিপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
গণঅধিকার পরিষদ ময়মনসিংহের দপ্তর সম্পাদক কাঞ্চন আহমেদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. মো. জাকির হোসাইন বলেন, “মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের বাহিরে যে ঘটনাটি ঘটেছে এ সম্পর্কে আমি অবগত না। হঠাৎ সংবাদ আসে বাহিরে গণ্ডগোল হচ্ছে। আমি অফিসের স্টাফদের মাধ্যমে জানতে পারলাম মানববন্ধন করতে আসা লোকদেরকে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিহত করেছে। পরবর্তীতে ইউএনও মহোদয় এবং ওসিকে অবগত করলে তারা এসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে।”
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করতে গেলে উপস্থিত জনতা গণপিটুনি দিয়ে কয়েকজনকে আহত করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
কেকে/ আরআই