জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রকৌশলীদের উদ্ভাবনী ধারণা ও উত্তম চর্চাকে স্বীকৃতি দিতে অনুষ্ঠিত হলো ‘এলজিইডি অ্যাডাপটেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি সদর দপ্তরের কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার মেইনস্ট্রিমিং (ক্রিম) প্রকল্পের আওতাধীন ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লোকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেন্টার (ক্রিলিক)। এর উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু সহনশীল জ্ঞানকে মূলধারায় নিয়ে আসা, উদ্ভাবনী ধারণা ও বেস্ট প্র্যাকটিসগুলোকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রকৌশলীদের স্বীকৃতি ও অনুপ্রেরণা প্রদান।
প্রতিযোগিতায় এলজিইডি সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের মোট ৩৪ জন অংশগ্রহণকারী তিনটি বিষয়ে লেখা জমা দেন। মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে ইনোভেটিভ আইডিয়া বিভাগে ৯ জন, লেসন্স লার্নড বিভাগে ৫ জন এবং বেস্ট প্র্যাকটিস বিভাগে ৬ জনসহ মোট ২০ জন প্রকৌশলীকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী জনাব জাবেদ করিম। তিনি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও প্রাইজমানি তুলে দেন।
প্রধান প্রকৌশলী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করবে। নতুন ধারণাগুলোকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।”
স্বাগত বক্তব্যে এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও ক্রিলিকের পরিচালক কাজী গোলাম মোস্তাফা বলেন, “ক্রিলিক এলজিইডির একটি ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলে এটি হবে একটি পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানভান্ডার, যা প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়ক হবে এবং প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বাড়াবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কেএফডব্লিউ-এর পোর্টফোলিও কো-অর্ডিনেটর মো. তৌহিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এই উদ্যোগ এলজিইডিতে জলবায়ু অভিযোজন জ্ঞানকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক করবে এবং ভবিষ্যতে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন অনুপ্রেরণা যোগাবে।
কেকে/ আরআই