মাগুরার মহম্মদপুর সদরের পেঁয়াজের হাটে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মহম্মদপুর পেঁয়াজের হাট ঘুরে দেখা যায়, গত এক মাস আগের তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কম।
এক মাস আগেও এই হাটে পেঁয়াজ পাওয়া যেত ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
মহম্মদপুর সদরে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার পেঁয়াজের একটি জমজমাট হাট বসে। আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক ও ফড়িয়ারা এখানে পেঁয়াজ নিয়ে আসেন। সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। এই হাটের পেঁয়াজ ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারেও যায়।
পেঁয়াজ বিক্রেতা কৃষক আব্দুল হালিম জানায়, ‘এখন বাজারে পেঁয়াজের যে দাম, তাতে আমরা অনেক খুশি। কিন্তু আসল কথা হল আমাদের ঘরে বিক্রির জন্য আর কোনো পেঁয়াজ নেই। সিজনের শুরুতে অল্প দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। যখন দাম বাড়ল, তখন এই দাম কৃষকরা পেলো না।’
পেঁয়াজ ক্রেতা মজনু বিশ্বাস জানায়, ‘আমি প্রতি হাটে পেঁয়াজ কিনি এবং মহম্মদপুর বাজারে খুচরা বিক্রি করি। গত এক মাস আগে আমরা খুচরা বাজারে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে সামান্য লাভ করতাম। এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে একই পরিমাণ লাভ করতে হচ্ছে। অথচ আগের থেকে এখন কেজি প্রতি বেশি বিনিয়োগ করতে হচ্ছে।’
বাঙালির খাদ্যে পেঁয়াজ একটি অতি আবশ্যকীয় অনুষঙ্গ। এই নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলার অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন।
দিনমজুর আব্দুস সালাম জানায়, ‘প্রতি হাটে আমাদের পেঁয়াজ কিনতে হয়। পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খেতে পারি না। আমাদের শ্রমের দাম বাড়ে না, অথচ বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। যেটা আমাদের মতো দিনমজুর শ্রমিকদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক।’
বছরের শেষদিকে এসে পেঁয়াজের দামের এই লাগামহীন বৃদ্ধি রোধ করতে অতিমুনাফালোভীদের দায় থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। যার কারণে সরকার পেঁয়াজ আমদানির হুমকিও দিয়েছে।
কেকে/বি