ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন মেকাইল কাশিমালতা এলাকার আয়েশা হাউজিং ও অবকাশ হাউজিং জুড়ে চলছে সা'দপন্থী তাবলীগ জামাতের পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। আজ চতুর্থ দিনে ইজতেমা ময়দানে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত একটা ত্রিশ মিনিটে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার দিয়ারা ইউনিয়নের বাসিন্দা শামসুদ্দিন (৭০) নামের এক মুসল্লি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে স্থানীয় আয়েশা হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ভোর পাঁচটা পঁচিশ থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বাদ ফজর তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং জানাজা শেষে মরদেহ নিজ জেলা সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়।
এর আগে রোববার বিকাল পাঁচটা ত্রিশ মিনিটে টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা জিনাত আলি (৭৫) নামের এক মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে সেদিন রাত সাড়ে এগারটায় ইজতেমা ময়দানে জানাজার নামাজ শেষে মরদেহ নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলে পাঠানো হয়।
গত ৭ নভেম্বর শুরু হওয়া এই জোড় ইজতেমার চতুর্থ দিনে সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত মুফতি জহিরুল ইসলাম (দিল্লি) অনুবাদে মুফতি আজিমুদ্দিনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রায় চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ হাজার মুসল্লি অংশ নেন। বক্তব্যে মুফতি জহিরুল ইসলাম তাবলীগ জামাতের গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন।
ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ অন্তত বিশটি দেশ থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক বিদেশি মেহমান অংশ নিচ্ছেন এবারের ইজতেমায়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা সিভিল পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন।
এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ইজতেমা ময়দানে সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কর্মকর্তারা মনিরুল হক ডাবলু।
কেকে/এআর