যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (যবিপ্রবি) একটি যুগোপযোগী, আধুনিক ও কর্মচারীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্মচারীবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।
রোববার (৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমিক ভবনের অধ্যাপক মোহাম্মদ শরীফ হোসেন গ্যালারিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীবৃন্দের বিদ্যমান দাবি-দাওয়া, সমস্যা ও তার সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীদের স্মরণ করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ কর্মচারীদের দাবি ও সমস্যাগুলো মনোযোগসহকারে শোনেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “সকল প্রকার প্রমোশন ও আপগ্রেডেশন যথাযথ সময়ে হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সেই লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে এবং কারো প্রতি কোন প্রকার বৈষম্য করা হবে না। আপগ্রেডেশনের প্রাপ্যতা অনুসারে দ্রুত সময়ে সকল প্রকার আপগ্রেডেশন বোর্ড আয়োজন করা হবে।”
এছাড়া তিনি সকলকে নিজ নিজ পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপাচার্য বলেন, “উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই যবিপ্রবির আইন ২০০১ অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী নীতিমালা যুগোপযোগী করা হয়েছে। নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন প্রক্রিয়া গতিশীল করতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাছাই বোর্ড নতুনভাবে গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যবিপ্রবি প্রশাসন নিয়োগ, পদোন্নতি, একাডেমিক কার্যক্রম, গবেষণা ও সকল বিষয় একই সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটি কুচক্রি ও স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের হীন স্বার্থে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে পশ্চাৎপদ ও অস্থিতিশীল রাখতে সর্বদা তৎপর। এই কুচক্রি ও স্বার্থান্বেষী মহলকে প্রতিহত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে।”
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, উপ-রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) নিত্যানন্দ পাল, সহকারী রেজিস্ট্রার (সাধারণ প্রশাসন) মো. মাহমুদুন্নবীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ আরআই