দশম গ্রেডে বেতন-ভাতাসহ তিন দাবিতে ঢাকার শাহবাগে ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচিতে শিক্ষকদের উপর পুলিশের হামলা প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নেমেছেন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরই অংশ হিসেবে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় কর্মবিরতি ও মাননবন্ধন করেছেন শিক্ষকরা।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন। সেই সাথে সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা।
এর ফলে উপজেলায় ৬৯টি প্রাথমিক স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও শিক্ষকরা পাঠদান না করায় নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে কোমলমতি শিশুদের।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্ধারিত শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিক বা বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এলেও মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি থাকতে শিক্ষকরা আন্দোলনে নামায় ক্লাস ও পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে উদ্বেগে পড়েছেন অভিভাবকরা।
ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকরা নিজেদের স্বার্থে হঠাৎ করে ক্লাস বন্ধ করে আন্দোলন করছে, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের সন্তানরা। বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন উদাসীনতা দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়। দাবি-দাওয়া থাকতে পারে, কিন্তু তা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে করা উচিত নয়।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা আবুল ফজল মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘ঢাকায় শিক্ষকদের ৩ দাবি আদায় বাস্তবায়নের আন্দোলনের সময় পুলিশ হামলা চালায়, এতে আমাদের শিক্ষকরা আহত হয়। শিক্ষকদের উপর পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে আমরা কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী ক্লাশ বন্ধ রেখেছি। তাই, সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, আমাদের তিন দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করে কর্মবিরতি অবসানের সুযোগ করে দিন।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি শিক্ষকদের স্কুল ফিরে যেতে বলেছি। যদি কোন মানববন্ধন করতে হয়, তাহলে স্কুল শেষে করতে পারে।’
কেকে/এমএ