সুন্দরবনের দুবলারচরে রাস উৎসবের ৩ দিনে পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে অপরাধীরা বনে প্রবেশ করে ব্যাপকভাবে হরিণ শিকারের চেষ্টা করে। বন বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ৩ দিনে ৩২ জন হরিণ শিকারিকে আটক এবং পাশাপাশি হরিণ শিকারের কাজে ব্যবহৃত ২টি ট্রলার ও বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ করে।
আবার, পরিবেশকর্মীরা জানায়, পুণ্যস্নানের সময় পুণ্যার্থীরা সাগরে প্রসাদ দেওয়ার জন্য পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিপুল পরিমাণ পলিথিন ব্যবহার করে।
জানা যায়, রাস উৎসবরে ১ম দিন (৩ নভেম্বর) দুপুরে হরিণ শিকারের ফাঁদ পাতার সময় বনরক্ষীরা ১ জনকে আটক করেন। ঠিক সেই সময় শিকারিরা বন কর্মকর্তার ওপরে হামলা করেন। হামলায় সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব আহত হন।
এ ঘটনায় বন বিভাগ রাফি হাসান (২৬), শহিদ মল্লিক (২৮) ও আল আমিন আকুঞ্জি (২৭) নামে ৩ শিকারিকে আটক করে আদালতে পাঠায়।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরি বলেন, ‘এবার রাস উৎসব উপলক্ষে বন বিভাগ, পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন। তারপরেও ছদ্মবেশে পরিচয় গোপন করে কিছু মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা বনে প্রবেশ করেছেন। হরিণ শিকারের প্রস্তুতির সময় বন কর্মকর্তাদের উপর হামলাও করেছেন শিকারিরা। এই সময়ে আমরা ৩২ জন শিকারিকে আটক করেছি। বিপুল পরিমাণ শিকারের ফাঁদ ও দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে সুন্দরবনের দুবলারচর আলোরকোলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৩ দিনব্যাপী রাস উৎসব শেষ হয়েছে। বুধবার ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নারী-পুরুষ, শিশু ভক্তরা আলোরকোল সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে নেমে স্নান করেন। পানির মধ্যেই নানা ধরনের প্রার্থনা করেন। পূজা-আর্চনা সম্পন্ন করে ভক্তবৃন্দ নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা হন।
কেকে/বি