সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয়ের (রাবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সামনে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
প্রতিবাদ কর্মসূচিটি তারা জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু করে এবং ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রেখে সংগাীতকে চার্চার দাবি জানানে হয়। এ সময় শিশুদের মনঃস্তাত্ত্বিক বিকাশে সংগীতের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়।
কর্মসূচিতে সংগীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ে যে বিষয় পড়ানো হয় হয়, তার বিরুদ্ধে এমন একটা প্রজ্ঞাপন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং সৃজনশীলতা-মননশীলতা বৃদ্ধি পায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীতকে বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানো হয়, সেখানে বাংলাদেশে কেন এই পদটি বহাল থাকবে না? দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একযোগে আমরা যে দাবির জন্য পথে নেমেছি, সে দাবি আদায় করবো।’
সংগীত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী অনিক মল্লিকা বলেন, ‘সংগীতকে মানুষের আত্মার খোরাক, যা মানুষের চেতনাকে বৃদ্ধি করে। দ্রুত এই প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
দর্শন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘মধ্য প্রাচ্যের মুসলিম দেশেও যেখানে শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে সংগীত ও শারীরিক চার্চার বিষয়টি অব্যহত আছে, সেখানে আামাদের দেশের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার পদে শিক্ষকের কোনো পদ না রেখে শিশুদের শারীরিক -মানসিক বিকাশকে কেন বাঁধাগ্রস্ত করা হবে?’
বলে রাখা ভাল, এর আগে, গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫’-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। তবে, রোববার (২ নভেম্বর) এক সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে।
কেকে/ এমএ