কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৫০ শয্যার সরকারি এই হাসপাতাল এক সময় দালালচক্রের দৌরাত্ম্যের কারণে খ্যাত ছিল। তবে বর্তমানে কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য কমেছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সরেজমিনে গেলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা জানান, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, সন্ধ্যা নামলেই মাদক সেবীদের আনাগোনা এবং নানা বিশৃঙ্খলাও কমেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, দালাল দৌরত্ব কমাতে হাসপাতালের প্রধান ফটকে প্রহরী বসানো হয়েছে, যার ফলে স্থানীয় ও দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীরা স্বাচ্ছন্দে চিকিৎসা নিতে পারছেন।
জানা গেছে, ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ রোগী এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেবিদ্বার, মুরাদনগর, ব্রাহ্মণপাড়া, নবীনগর, কসবাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী আসে, যার কারণে হাসপাতালটি গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসা নিতে আসা মো. মাসুদ বলেন, “চিকিৎসা নিতে এসে ভালোভাবেই চিকিৎসা নিয়েছি। কোন দালালের খপ্পরে পড়িনি।”
অপরজন শামিমুল হক সবুজ বলেন, “দালালদের কোন আনাগোনা আমি দেখিনি। যে চিকিৎসার জন্য এসেছি, সে চিকিৎসা ভালোভাবে নিয়েছি। এখানকার ব্যবস্থাপনা ভালো।”
হাসপাতালের কর্মী মো. খোকন ও আছিয়া খাতুন বলেন, “আমাদেরকে হাসপাতালের গেইটে ডিউটি দিছে দালাল মুক্ত রাখার জন্য। আমরা থাকায় এখন কোন দালাল হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে পারে না। আমরা প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ জন এখানে থাকি।”
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মহিবুস ছালাম খান খোলা কাগজকে বলেন, “এখানে রোগীকেন্দ্রিক দালালদের উৎপাত খুবই বেশি। দালাল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বিশেষ করে মহিলা দালালের উৎপাত বেশি। তারা হাসপাতালের প্রধান ফটকের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকে। এখান থেকেও রোগীদের ভুলভাল বুঝিয়ে নিয়ে যায় বিভিন্ন ক্লিনিকে। হাসপাতালের গেইটে প্রহরী বসানোতে দালালরা অভ্যন্তরে আসতে পারেনা। এছাড়াও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, সন্ধ্যা নামলেই মাদক সেবীদের আনাগোনাসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা দমনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তারপরেও দেবিদ্বার উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।”
কেকে/ আরআই