জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর, কালাই, ক্ষেতলাল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জয়পুরহাট-২ আসনে সাবেক সচিব ও ঢাকা জেলার সাবেক ডিসি আব্দুল বারীর নাম ঘোষনা করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে গোলাম মোস্তফার কর্মী ও অনুসারীরা বারীর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ৮টায় উপজেলার গোপীনাথপুর বাজার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে মনোনয়ন পাওয়া সাবেক সচিব আব্দুল বারীকে ‘অতিথি পাখি বারীকে চাই না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আপেল মাহমুদ বকুলের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা নুর ইসলাম নুহু মেম্বার, নুরু মেম্বার, যুবনেতা শামীম, মোস্তাফিজুর রহমান গোল্লা, বিএনপি নেতা সেকেন্দার, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির রানাসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নেতা কর্মীরা বলেন, ‘জয়পুরহাট রাজপথে রাজনীতি না করা একজন অবসরপ্রাপ্ত আমলাকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলের দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। এই আসনে বিএনপির জয় নিশ্চিত করতে ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফাকে মনোনয়ন দিতে হবে। তা না হলে আসনটি ঝুঁকির মুখে পড়বে। তাই অতি দ্রুত বারীর মনোনয়ন বাতিল করে ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফাকে মনোনয়ন দিবার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি সভাপতি কামরুজ্জামান কমল বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আব্দুল বারীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন পাওয়া কোনো প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ করা সম্পূর্ণ নিষেধ। এরপরেও যদি কেউ এ ধরনের কার্যক্রমে লিপ্ত হয়, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কর্মী ও অনুসারীদের করা বিক্ষোভের বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা বুধবার সকালে মুঠোফোনে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।
কেকে/বি