মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক এম ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে তার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি।
বিএনপির মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দলীয় প্যাডে বিএনপির মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি মো. ফয়জুল করিম ময়ূন ও সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম রিপন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাাশিত হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। তাই, তাকে বিএনপির শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ স্থগিত করা হলো।’
প্রকাশিত ঘটনার তদন্ত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি। কমিটির সদস্যরা হলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মুকিত, মোশাররফ হোসেন বাদশা ও মাহবুব ইজদানী ইমরান।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফেসবুকে ইদ্রিস আলী লিখেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। তদন্ত কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে আমি আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টি করে অপহরণ, প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করার অভিযোগ তুলে ধরার সুযোগ পাবো বলে আশা করছি। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে আমার স্ত্রীর নিজ বাড়িতে একদল ব্যক্তি আমাকে অপহরণ করে নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে তারা পরিকল্পিতভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জোরপূর্বক ভিডিও ধারণ করে ও সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। আমি বিশ্বাস করি, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আমাকে সুবিচার দেবেন। অপহরণ ও হামলার ঘটনায় আমি সুবিচারের প্রত্যাশা করছি।’
আব্দুর রহিম রিপন বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সাত দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
কেকে/ এমএ