রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার চন্ডিমারী গ্রামের পুরুষদের কাছে আতঙ্কের নাম আমিনা বেগম। এ নাম শুনলেই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন গ্রামের তরুণ, যুবক এমনকি বৃদ্ধরাও।
চার সন্তানের জননী বিধবা আমিনা বেগম নিজের রূপ-যৌবন দিয়ে এলাকার পুরুষদের আকৃষ্ট করেন। পরে কৌশলে হাতিয়ে নেন টাকা-পয়সা। কোথাও কৌশল ব্যর্থ হলে নেন ভিন্ন পন্থা। কোনো পুরুষকে বাড়িতে বা বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হঠাৎ জাপটে ধরে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় তাকে সহযোগিতা করে তার ‘ধর্ম ভাই’ পরিচয়ের কয়েকজন বহিরাগত যুবক। ফলে ওই পুরুষদের মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা দিয়ে রেহাই পেতে হয়। জরিমানা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ধর্ষণ মামলা।
এভাবেই সম্প্রতি তিনি তার প্রতিবেশী, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষিটারী ইউনিয়নের জয়রামওঝা গ্রামের আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধেও স্থানীয় আদিতমারি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার আদিতমারি থানা পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী চন্ডিমারী ও জয়রামওঝা এলাকার লোকজন।
এলাকাবাসী মোজা মিয়া, আব্দুল জলিল, সুরুজ মিয়া, জিয়ারুল ও কালামসহ অনেকে জানান, আমিনা বেগম ইতোপূর্বে আরও তিনজন যুবকের বিরুদ্ধেও থানায় মামলা করেছিলেন।
তারা আরও জানান, এলাকার পুরুষরা এখন আমিনার ভয়ে সন্ধ্যার পর ওই রাস্তা এড়িয়ে বিকল্প পথে চলাচল করেন। স্থানীয়দের ভাষায়, আমিনা এখন গ্রামের পুরুষদের ‘আতঙ্ক’।
জানা যায়, আমিনা বেগম দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গাচড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার চন্ডিমারী পশ্চিম মহিষখোচা গ্রামে তার দ্বিতীয় স্বামী মৃত আব্দুল্লার বাড়িতে পিতা জহির মিয়া ও ছোট ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন।
এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমিনা বেগমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
কেকে/ আরআই