নরসিংদীতে সংসারে অনিহা প্রকাশ করায় স্ত্রী-শিশু সন্তান ও শালিকাসহ ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন রিনা বেগম (৩৮), তার তিন ছেলে জিহাদ (২২) ফরহাদ (১৪) তাওহিদ (৬), রিনা বেগমের ছোট বোন সালাম বেগম (৩৫) ও তার ছেলে আরফাত (১৪)।
ঘটনার পর অগ্নিদগ্ধ ছয়জনের মধ্যে তিনজকে জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, পলাতক রয়েছে এই ঘটনায় জড়িত মাদকাসক্ত ফরিদ মিয়া।
অগ্নিদগ্ধ আহত ও তাদের স্বজনরা জানায়, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও শিবপুর উপজেলার ইটাখোলায় বসবাসকারী ফরিদ মিয়া একজন মাদকাসক্ত ও চিহ্নিত অপরাধী। দীর্ঘদিনের সংসার জীবনে ভরণ-পোষণসহ দায়িত্ব পালন না করায় স্বামী সংসার ছেড়ে সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়ায় বাবার বাড়িতে সন্তানসহ আশ্রয় নেন রিনা বেগম। পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহযোগি হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সম্প্রতি রিনা বেগমকে ফরিদ মিয়ার সংসারে ফিরে যেতে হুমকি দিয়ে আসছিলো। গতকাল রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় রিনার বসতঘরে পেট্রোল ছিটিয়ে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা চালায় ফরিদ। এ সময় তাদের আর্ত চিৎকারের ফলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় ফরিদ মিয়া।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় বার্ণ ও প্লাস্টিক ইউনিটে পাঠায়।
চিকিৎসক জানান, ঢাকায় পাঠানো তিনজনের দেহ প্রায় ৪০ ভাগ পুড়ে গেছে।
এদিকে, নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ না পেলেও কেন এই ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ। সেইসাথে আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান চলছে।
কেকে/ এমএ