রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি এলাহী হোসেন জোয়ার্দ্দারের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সন্ত্রাসী কায়দায় আক্রমণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাংশা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন পাংশা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনোয়ারুল ইসলাম, ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. হাফিজুল ইসলাম।
মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “গত পরশু দিন আমাদের সহকর্মী হাফিজুল ইসলামকে এলাহী জোয়ার্দ্দার শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। একজন শিক্ষকের উপর এমন আক্রমণ অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।”
“ভবিষ্যতে যেন শিক্ষকদের উপর এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি ও কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।”
মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, “আমি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেছি। এরপর থেকেই এলাহী হোসেন জোয়ার্দ্দার, যিনি এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত, আমাকে ও আমার সহকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। কিছু দিন আগে তিনি আমার উপর হামলা চালান। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করলে ছয় মাসের সাজা হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে এসে আবারও বেপরোয়া আচরণ করছেন।”
“এলাহী হোসেন জোয়ার্দ্দার শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। তিনি একজন বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তি। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।”
এ সময় শিক্ষার্থীরা “শিক্ষকদের অসম্মান ও শিক্ষার্থীদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদী”— এই স্লোগান দিতে দিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
তারা সতর্ক করে জানান, ন্যায্য বিচার না হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
কেকে/ এমএ