দীর্ঘ দিন ধরে ৬৭০টি শূন্যপদে প্রাণচাঞ্চল্য আনতে মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত। দায়িত্ব না পাওয়ার তালিকায় ৯১ কর্মকর্তা বিভাগীয় মামলাসহ নানা কারণে বাদ পড়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা ভূমি জরিপ প্রশাসনে অবশেষে নেমেছে প্রাণচাঞ্চল্য। মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমে গতি ফেরাতে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ৪৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদে চলতি দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মাঠ প্রশাসনে এই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ভূমি মন্ত্রণালয়ের জরিপ অধিশাখা–১।
গত ১৫ অক্টোবর (বুধবার) প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয় এবং মন্ত্রণালয়ের সরকারি ওয়েবসাইট www.minland.gov.bd-এ প্রকাশিত হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অধীন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা ও বিভিন্ন কর্পোরেশনের শূন্য পদে চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান নীতিমালা, ২০২৩” এবং “জোনাল সেটেলমেন্ট ও উপজেলা সেটেলমেন্ট কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৩”-এর বিধান অনুযায়ী এই পদোন্নতি ও চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত পদে সরাসরি নিয়োগ ও পদোন্নতির প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় মাঠ প্রশাসনে প্রায় ৬৭০টি পদ শূন্য ছিল। এর ফলে ভূমি রেকর্ড, সত্বলিপি, সত্ত্বয়ব লিপি ও নকশা প্রণয়নসহ জরিপ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছিল। প্রশাসনে গতিশীলতা আনয়ন ও জনসেবা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিভাগীয় মামলা, এ.সি.আর. (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) সঠিক না থাকা, পিআরএল গমন, চলতি দায়িত্ব গ্রহণে অনীহা এবং চাকরিকাল সন্তোষজনক না থাকার কারণে ৯১ জন কর্মকর্তা পদোন্নতির বিবেচনায় আসেননি। তাদের মধ্যে রয়েছেন সার্ভেয়ার (গ্রেড-১৪) ২৭ জন, ট্রাভার্স সার্ভেয়ার/কম্পিউটার/ড্রাফটম্যান কাম এরিয়া এস্টিমেটর কাম সিট কিপার (গ্রেড-১৫) ১১ জন এবং পেশকার/যাচ মোহরার/কপিস্ট কাম বেঞ্চ সহকারী/খারিজ সহকারী/রেকর্ড কিপার (গ্রেড-১৬) ৫৩ জন।
তবে অবশিষ্ট ৪৫৫ জন যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (গ্রেড-১০) পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ কার্যক্রমে নতুন গতি আনবে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ভূমি ব্যবস্থাপনা ও নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
কেকে/এজে