শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সুদের টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম তার লোকজন নিয়ে এক কৃষকের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার জামিরাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা হয়।
এ ঘটনায় ওই গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী রিতা বেগম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ অষ্টোবর) তাদেরকে দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জামিরাকান্দা গ্রামের আমানউল্লাহ মুন্সির স্ত্রী সুফিয়া বেগম, মকবুল হোসনের দুই ছেলে বাবুল মিয়া ও নয়ন মিয়া এবং খাদিজা বেগম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিতা বেগম পার্শ্ববর্তী পাঁচগাও গ্রামের জামে মসজিদের খতিব আমানুল্লাহ মুন্সির কাছ থেকে ১০% মাসিক সুদে এক লাখ টাকা ঋণ নেন। তিনি নিয়মিতভাবে সুদের টাকা পরিশোধ করছিলেন এবং কিছুদিন আগে আসলের ৫০ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন। তবে ইমাম আমানুল্লাহ মাসে ১০ হাজার টাকা সুদ দাবি করে আসছিলেন। তার দাবি অনুযায়ী এখনো রিতার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। রিতা বেগম টাকা জোগাড়ের জন্য স্বামী-সন্তানের কাছে ঢাকায় গেলে সুযোগ বুঝে ইমাম আমানুল্লাহ মুন্সি ও তার সহযোগীরা হামলা চালায় তার বসতবাড়িতে। চলে ভাংচুর ও লুটপাটের তাণ্ডব। তারা শ্রমিক ভাড়া করে ঘরের টিন, কাঠ, খুঁটি, নলকূপ, গোসলখানা, রান্নাঘর, এমনকি মেঝের ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন রিতা বেগম। খবর পেয়ে রিতা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব রিতা বেগম এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। স্থানীয়রা এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর চারজনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে শেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কেকে/ আরআই