ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে মো. আব্দুল সালাম নামে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মহেশপুর বাজার সংলগ্ন রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তার দুই পা ও মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নিহত সালামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার চন্দ্রতলা গ্রামে। তিনি প্রয়াত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
এ সময় মরদেহের পাঞ্জাবির পকেট থেকে দুটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। চিরকুট দুটিতে লেখা ছিল তার পরিচয়, ঠিকানা, পরিবারের মোবাইল নম্বর এবং “আমার মরে যাওয়াতে কাউকে দায়ী করবেন না” — এমন একটি বার্তা।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মহেশপুর এলাকায় বোন সাহেরা খাতুনের বাড়িতে এসেছিলেন ছালাম। তার আগে একই দিন সকালে নিজ বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে আসেন তিনি। পরিবার ও পুলিশের ধারণা মানসিক সমস্যার কারণে ছালাম আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
চিরকুটে উল্লেখ থাকা নম্বরে কল দিলে নিহতের ভাবি পান্না আক্তার জানান, তিনি বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হন। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। তার সংসারে স্ত্রী ও তাবাসসুম নামে সাড়ে তিন বছরের এক মেয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, বিজয় ট্রেনে কাটা পড়ে আব্দুস ছালামের ডান পা,বাঁ হাত ও মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চলন্ত ট্রেনের গতিতে তার সমস্ত শরীর তেঁথলে গেছে। নিহতের পরিহিত পাঞ্জাবির পকেট থেকে দুই টুকরো চিরকুট পাওয়া যায়। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের আওতাধীন হওয়ায় আমরা তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি। তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. বাহাউদ্দীন ফারুকী বিপিএম-পিপিএম বলেন, নিহত ছালাম একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলেন। তার চিকিৎসার কাগজপত্র আমরা পেয়েছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কেকে/ আরআই