যশোর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামে ইজিবাইক চুরি নিয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীদের হামলায় চঞ্চল মাহমুদ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার বাবা, মা ও ছোট ভাই।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত চঞ্চল ওই গ্রামের মধু গাজীর ছেলে।
আহতরা হলেন—চঞ্চলের বাবা মধু গাজী, মা হাসিনা বেগম ও ছোট ভাই তুহিন গাজী। তারা বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মধু গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত চঞ্চলের ছোট ভাই তুহিন গাজী জানান, গত এক মাস আগে ডাকাতিয়া গ্রামের মধু গাজীর ছেলে চঞ্চল মাহমুদের একটি ইজিবাইক চুরি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা এবং ভুক্তভোগী চঞ্চল এলাকার আলোচিত চোর সিন্ডিকেট প্রধান রবিউল ইসলাম গংকে সন্দেহ করে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে ইজিবাইকটি ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চোর সিন্ডিকেট প্রধান রবিউল। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মধু গাজীর বাড়িতে রবিউলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ সময় প্রথমে ছেলে চঞ্চলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে রবিউলের লোকজন। এ সময় চঞ্চল মাহমুদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঠেকাতে আসলে তার বাবা মধু গাজী মা হাসিনা বেগম ও ছোট ভাই তুহিনকে কুপিয়ে জখম করে তারা।
পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারী চক্র চলে যায়। স্থানীয় লোকজন মাটিতে লুটিয়ে পড়া চঞ্চল মাহমুদ, তার বাবা মাধু গাজী, ছোট ভাই তুহিন ও মা হাসিনা বেগমকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চল মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর জখম মধু গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান।
এদিকে হামলা ও হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে যশোর কোতোয়ালি থানা, জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ কয়েকটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল এলাকায় খোঁজখবর নেন। এ ঘটনায় পুলিশ রবিউল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন ও মুন্নাকে গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে যশোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) আহসান হাবিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সিন্ডিকেট প্রধান রবিউল ইসলাম ও তার দুই সহযোগী বিল্লাল ও মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/ আরআই