নীলফামারীতে টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রমের প্রচারণার অংশ হিসেবে দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইদুল ইসলাম।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. বায়েজীদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ এ মুমেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান শেখ, সহকারী জেলা তথ্য কর্মকর্তা কবির উদ্দিন, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোছাদ্দিকুল আলম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নীলফামারীর চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে গড়ে ২৯০ জন টাইফয়েডে আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৬১ ভাগই ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। অর্থাৎ দেশে টাইফয়েড ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি শিশু।
চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান শেখ কর্মশালায় জানান, ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে এবং স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ সময় জেলায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ৫ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৭ জন শিশুকে টাইফয়েড জ্বরের টিকাদান ক্যাম্পেইনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫০৫ জন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানবহির্ভূত রয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩২ জন।
কর্মশালায় স্কাউটস ও গার্লস গাইডের ৫০ জন সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কেকে/ আরআই