জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের আমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইজারুল হকের (৪০) বিরুদ্ধে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ১২ বছরের শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে আমবাড়িয়া গ্রামে ইজারুল হকের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ইজারুল হক গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেনের পুত্র।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর পিতা বাজিত শেখ।
ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া জন্য একটি প্রভাবশালী মহল সক্রিয় থাকায় ও জোর করে আপোষ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
খবর পেয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমানকে তদন্ত করতে বলেন। মোস্তাফিজুর রহমান তদন্ত করে সোমবার (৬ অক্টোবর) মেলান্দহ থানায় মামলা রেকর্ড করেন।
জানা গেছে, আমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইজারুল হক তার নিজ বাড়িতে পাইভেট পড়ানোর সময় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
বাজিত শেখ বলেন, ‘আমি গরীব ও অসহায় হওয়ার কারণে এলাকার কিছু নেতা ধর্ষণকারী শিক্ষকের পক্ষে মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আপোষের নাম করে শালিশের চেষ্টা করার কারণে থানায় মামলা দায়ের করতে দেরি হয়ে যায়।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ের পিতা বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করে আদালতের মাধ্যমেে পিতা-মাতার জিম্মায় দেওয়া হবে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
কেকে/ এমএ