গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে কেউ টাইফয়েডের টিকা নিতে চাইলে টিকার মান নিশ্চিত হবে না। এজন্য অনেক টাকা খরচ করতে হবে। কিন্তু সরকার যে টিকা দিচ্ছে তা নিরাপদ, হালাল এবং বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পরামর্শ কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক বলেন, টাইফয়েড টিকার জন্য নিবন্ধন জরুরি। নিবন্ধন কতটুকু হলো আর কতটুকু বাকি আছে সে অনুসারে নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে। তাহলেই আমরা সব শিশুকে টিকা কেন্দ্রে আনতে পারব।
সরকারের বড় বড় উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা স্মরণ করে তিনি টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ে বেশি বেশি প্রচারের জন্য মিডিয়াকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন মোসা. মাহবুবা খাতুন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে টাইফয়েডের চিকিৎসায় যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তা হচ্ছে এর জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা। জীবাণুর এই প্রতিরোধ ক্ষমতার ফলে অনেক ওষুধই কার্যকর হচ্ছে না। আর সে কারণেই টাইফয়েডের টিকা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, এবারের টিকাদান ক্যাম্পেইনের দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত টাইফয়েড থেকে পরিত্রাণ এবং দ্বিতীয়ত সকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করা। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার, উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক তাজকিয়া আকবারী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. মো. আবদুল মতিন প্রমুখ।
কেকে/ আরআই