ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বিনামূল্যে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত জেলার ৭ লাখ ২৪ হাজার ৮৬ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ের পরামর্শ কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ প্রকল্পের আওতায় জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘‘একটি টিকার দাম প্রায় ৬৫০-৭০০ টাকা। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সরকার এই দুর্দিনে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সাড়ে ৫ কোটি টিকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিচ্ছে। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক বিশাল বিনিয়োগ।”
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিমা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নোমান মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন ও সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. দীপক চন্দ্র দাস।
কর্মশালায় জানানো হয়, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৮ দিন চলবে টিকাদান কার্যক্রম। এর মধ্যে প্রথম ১০ দিন বিদ্যালয়ে ও পরবর্তী ৮ দিন স্থানীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা এ টিকা নিতে পারবে।
জেলায় মোট ১১ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৭ লাখ ২৪ হাজার ৮৬ জন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১ লাখ ২১ হাজার ৪৭৪ জন, নবীনগরে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১৯ জন, সরাইলে ১ লাখ ১ হাজার ২১৬ জন, বাঞ্ছারামপুরে ৭৯ হাজার ৩৪০ জন, বিজয়নগরে ৭০ হাজার ৪২৬ জন, কসবায় ৭২ হাজার ৮১০ জন, নাসিরনগরে ৭৭ হাজার ৪২৭ জন, আশুগঞ্জে ৪০ হাজার ১৯৭ জন এবং আখাউড়ায় ৩৮ হাজার ২১৭ জন।
কেকে/ এমএ