তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধায় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ গাইবান্ধা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর আয়োজকরা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল, সহ-সভাপতি শহিদুজ্জামান শহীদ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিক, সাদুল্যাপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, পলাশবাড়ি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশফেকুর রহমান রিপন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ভুটটু ও অধ্যাপক মাসুদার রহমান মুকুল।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলাধার। দীর্ঘদিন পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়া এবং ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে এ অঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষ মারাত্মক সংকটে পড়েছেন। একদিকে পানির অভাব, অন্যদিকে নদীভাঙন, এই দুই বিপর্যয়ে তিস্তার দুই তীরের মানুষ আজ জীবিকা ও বসতি রক্ষায় সংগ্রাম করছে।
এতে আরও বলা হয়, প্রয়োজনের সময় তিস্তায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার কৃষকরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ফলে এ অঞ্চলের দারিদ্র্য হার বেড়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়নের গতি ব্যাহত হচ্ছে। এই বৈষম্য দূর করতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, 'স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। এটি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।'
কেকে/বি