ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মোহাম্মদ লিটন মিয়া।
তার অভিযোগ- সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন এলাকার প্রভাবশালী মোহাম্মদ মুসা মিয়া এবং তার দোসর মোহাম্মদ দুলাল মিয়া, মোহাম্মদ হারুন মিয়া, মোহাম্মদ বাবুল মিয়া ও মোহাম্মদ মলাই মিয়া।
বৃহস্পতিবার (২অক্টোবর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন লিটন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘শিবপুর মৌজার বিএস খতিয়ানে ৭০৪ দাগের নোওয়াজিস মিয়ার ৫৮ শতক ভূমি থেকে ২৭ দশমিক ১০ শতাংশ ভূমি সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে আমি বৈধ মালিক। একই দাগের ৫৮ শতকের ভূমির চৌহদ্দির দক্ষিণ পাশে ৫ দশমিক ১৫ শতক মালিক মোহাম্মদ মোসা মিয়া।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাশবর্তী সিরাজ শাহ্ মাজারের ঘর নির্মাণ ও সামাজিক বিষয় নিয়ে মোহাম্মদ মোসা মিয়ার সাথে বিরোধ রয়েছে লিটন মিয়ার। তারই জের ধরে লিটনের বিরুদ্ধে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মোসা মিয়ার জায়গা দখল করেছে বলে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তিকর ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছে।
লিটন মিয়া আরও বলেন, ‘চতুর মোসা মিয়া ও আমার ওই দাগের চৌহদ্দির দক্ষিণ অংশে তার ৫ দশমিক ১৫ শতক দাবি করে বেআইনীভাবে প্রভাব খাটিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিলে চৌহদ্দি নকসা পরিবর্তন করে আমার জায়গা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী করছে।’
তিনি বলেন, ‘মোসা মিয়া ও তার দোসরা আমার বিরুদ্ধে এই জায়গা নিয়ে ছয়টি মামলা করেছে; যার ৫টি মামলারই রায় আমার পক্ষে এসেছে। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। যদি কেউ বৈধ কাগজপত্র ও আইনগত প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারে যে, এই জমির মালিক তারা— তবে আমি বিনা দ্বিধায় জমি ছেড়ে দেব।’
লিটন মিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সুবিচারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোহাম্মদ মোসা মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি মূল মালিক থেকে জমি কিনেছি, আমার অংশ দক্ষিণ অংশে। সে আমির হোসেনের কাছ থেকে জমি কিনেছে, আমিরের জায়গা ওই দাগের চৌহদ্দির উত্তর অংশে। সে আমার জায়গা দখল করে রেখেছে, সামাজিক বিচারও সে মানে না।’
কেকে/ এমএ