সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজকে ঘিরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বইছে ভোটের আমেজ। পাঁচ দিনব্যাপী পূজা-অর্চনা, আরাধনা ও আনন্দ-উৎসব শেষে আজ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে। তবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে এই দুর্গাপূজা উদযাপন পূজামণ্ডপে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ব্যাপক আনাগোনায় ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা পূজামণ্ডপে গিয়ে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
মণ্ডপ পরিদর্শন, আর্থিক অনুদান ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। এমকি পূজামণ্ডপগুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলতে দেখা গেছে। এতে নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের আকর্ষণের প্রয়াসই ফুটে উঠেছে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
গোদাগাড়ীতে এবার ৪২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে পালন করতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও পূজা উদযাপন পরিষদ যৌথভাবে কাজ করছে।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শরীফ উদ্দিনকে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন এবং পূজা উৎসব উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা গেছে।
পরিদর্শনকালে শরীফ উদ্দিন বলেন, “হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষই আমরা বাংলাদেশি। আমাদের পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। বিএনপি বিশ্বাস করে প্রতিটি মানুষ তার ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করার অধিকার রাখে।”
এছাড়াও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আরও দুয়েকজনকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
রাজশাহী-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
পূজা মণ্ডপে নেতাদের বাড়তি উপস্থিতি স্থানীয় রাজনীতি ও দুর্গাপূজাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নিজ নিজ দলের পক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের সমর্থন ও ভোট আদায়ের জন্য পূজামণ্ডপগুলোতে এবার বেশী সক্রিয় হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
কেকে/ এমএ