রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাড ড. আসলাম মিয়া বলেছেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে দলের পাশে আছি এবং দুর্দিনে দলের পাশে ছিলাম। আমার একটি ইচ্ছা, উপরওয়ালা যদি আমাকে সুযোগ দেয় তাহলে রাজবাড়ীর সনাতনী হিন্দু ভাইয়েরা সবচাইতে ভালো এবং নিরাপদে থাকবে। তাদের মধ্যে ভীতির যে সংস্কৃতি সেটা দূর করে দেব।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শুধু ধর্মীয় কারণে কেউ বৈষম্যের শিকার হবে, এটা আমরা চাই না। আমরা বৈষম্যহীন সমাজ চাই। সেটা হোক অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক বা ধর্মের দিক দিয়ে। এছাড়া আমি একটা মানবিক, উন্নত, দারিদ্রমুক্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী, বেকার ও ক্ষুধামুক্ত রাজবাড়ী দেখতে চাই। আপনারা জানেন আমার কোন ক্ষুদা নাই, আমার একটাই ক্ষুদা রাজবাড়ী-১ আসনের জনগণকে সেবা করা।
এ্যাড. আসলাম মিয়া বলেন, রাজবাড়ী সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক একটি শহর । সে ধারাবাহিকতায় জেলা বিএনপি সম্প্রতির রাজবাড়ী বানানোর জন্য কাজ করছে। বিএনপির একটা মধ্যবর্তী দল এবং বাংলাদেশের হিন্দু ভাইদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। জেলায় ৪৩৮ টি মন্ডপে উৎসবমূখর পরিবেশে পূজা উদযাপতি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে নাই। আমি সহ আমাদের নেতাকর্মীরা মণ্ডপ পরিদর্শন করে সার্বিক খোঁজ-খবর রাখছি। মণ্ডপে গিয়ে দেখেছি তারা উজ্জীবিত এবং উৎসবমুখর ভাবেই পূজা উদযাপন করছে। জেলা বিএনপির একজন নেতা হিসাবে আমি স্বস্তি প্রকাশ করছি।
পরে পৌর বিএনপির নের্তৃত্বে জেলা বিএনপিসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি পৌর শহরের বিবেকানন্দ হরিজন পল্লীর পূজামণ্ডপ থেকে পরিদর্শন শুরু করেন। পরে একে একে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শণ করে সনাতনীদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিয়ে দোয়া প্রার্থনা করেন।
এ সময় এ্যাড. আসলাম মিয়ার সহধর্মীনি ফরিদা ইয়াসমিন শিখা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু, পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মালেক খান, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ আরআই