আদালতের ১৪৪ ও ১৪৫ ধারার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তৃতীয়বারের মতো গৌরনদীর তিখাসার মহল্লায় ২০টি পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে পাকা দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শ্রমিক নিয়ে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এ কাজ করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১৭ সেপ্টেম্বর নুরুজ্জামান খানের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সেই শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয় ১৩ নভেম্বর। গৌরনদী মডেল থানার এসআই মো. আমির হোসেন সরেজমিনে গিয়ে বিচারিক নির্দেশনা কার্যকর করেন। তারপরেও কামাল সরদার নামে এক প্রবাসী জামিনহীন ব্যক্তি ভাড়াটিয়া কর্মী নিয়ে তিনবার রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণ করেছেন।
ভূক্তভোগী নুরুজ্জামান খান অভিযোগ করে বলেন, গৌরনদী ও পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলা থেকে অসংখ্য ভাড়াটিয়া লোকজন জড়ো করে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাস্তার মধ্যে দেয়াল নির্মান করেছেন প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী কামাল সরদার। ভাড়াটিয়া লোকজনদের ভয়ে স্থানীয় কেউ তাদের সামনে যেতে সাহস পায়নি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা সত্বেও তারা রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে ঘটনাস্থলে আসেননি। যে কারণে কামাল সরদার তার লোকজন নিয়ে রাস্তার মধ্যে পাকা দেয়াল নির্মান করে ২০টি পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে ওই ২০টি পরিবার এখন অবরুদ্ধ হয়ে পরেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান, দেলোয়ার হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, তিকাসার গ্রামের রবিউল ভিলা সংলগ্ন পাইকবাড়ি এলাকার প্রায় ২০টি পরিবারের চলাচলের দীর্ঘদিনের একমাত্র রাস্তাটি তারা নিজস্ব অর্থায়নে একাধিকবার মেরামত করেছেন। পরবর্তীতে সম্প্রতি গৌরনদী পৌরসভা থেকে রাস্তাটি সংস্কার করতে আসলে কালকিনি উপজেলার বাসিন্দা বর্তমানে জমি ক্রয়সূত্রে তিখাসার মহল্লায় বসবাসরত প্রবাসী কামাল সরদার ও তার পরিবারের সদস্যরা বাঁধা প্রদান করেন। এরপর তৃতীয়বারের মতো রোববার ওই এলাকার ২০টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি নিজের ক্রয় করা সম্পত্তি দাবি করে প্রবাসী কামাল সরদার রাস্তার মধ্যে পাকা দেয়াল নির্মান করেন। ফলে ২০টি পরিবারের সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পরেছেন।
এ ব্যাপারে প্রবাসী কামাল সরদার বলেন, ২০১১ সালে আমার ক্রয় করা ২০ শতক সম্পত্তির মধ্যে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিরা তিনটি রাস্তা দাবি করেন। আমি প্রধান সড়কের জন্য ইতোমধ্যে এক শতক জমি দিয়েছি। বাকি দুইটি রাস্তার জন্য জমি না দেয়ায় আমার ক্রয় করা জমিতে নির্মিত দেয়াল স্থানীয়রা একাধিকবার ভেঙে ফেলেছে। পুনরায় আমি আমার ক্রয় করা সম্পত্তিতে দেয়াল নির্মান করেছি।
তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি তিনি।
কেকে/ আরআই