নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহযোগী ব্যবসায়ী নাহিদুজ্জামান নিশাদের মোটরসাইকেল বহরে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের পদধারী ২ নেতা।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধার সাঘাটা এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউনে অংশগ্রহণ করেন তারা। তাদের এ মটরসাইকেল বহর ডাকবাংলো বাজার অতিক্রম করার সময় ত্যাগী নেতাকর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়লে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহযোগী ব্যবসায়ী নাহিদুজ্জামান নিশাদের মটরসাইকেল বহরে যোগ দেওয়া নেতাদ্বয় হলেন— সাঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মৃদুল।
ডাকবাংলা সিএনজি চেইন মাস্টার হাকিম মিয়া বলেন, ‘সাঘাটা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ মাইক্রো গাড়িতে ও সাঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মৃদুল মোটরসাইকেলে ছিলেন আমি দেখেছি।’
সাঘাটা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি গাড়িবহরে ছিলাম না, কেউ প্রমাণ দেখাতে পারবে না। বহরের কোনো ছবি দেখাতে পারবে না।’
সাঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ বাদশা আলম বলেন, ‘আমি ফোর্স নিয়ে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করার সময় ডাকবাংলা মোড়ে দেখতে পাই—নাহিদুজ্জামান নিশাদের বহর গেছে, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
এর আগে শনিবার রাতে নাহিদুজ্জামান নিশাদ স্বতন্ত্রভাবে ভোট করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন। এরই অংশ হিসেবে রোববার গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। পরে সাঘাটা এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দেন সাবেক বিএনপি নেতা নিশাদ। তাদের মোটরসাইকেল বহর ডাকবাংলো বাজার অতিক্রম করার সময় ত্যাগী নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের পট পরিবর্তনের পর ২১ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েছিল নাহিদুজ্জামান নিশাদ। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেকে/এজে