ফরিদপুরে মাহিন্দ্র স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতারের পর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান ওরফে লিমনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ওই নেতার কোন ধরনের অপকর্মের দায় দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে শহরের গোয়ালচামটস্থ ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমানের অনুসারী শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল যুবক মাহিন্দ্রা শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ১৬টি মাহিন্দ্রা ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় ১০ জন শ্রমিক আহত হন, তাদের মধ্যে চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মাহিন্দ্রা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় মাসুদুর রহমানসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ছয় নম্বর আসামি মাসুদুর রহমান ও সাত নম্বর আসামি আনন্দ শুভ্র রায়কে গ্রেফতার করে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে শাহীন হাওলাদার ও তার সহযোগীরা মাহিন্দ্রাস্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা করে আসছিল এবং প্রতিটি মাহিন্দ্রা থেকে জোরপূর্বক ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছিল। শ্রমিকরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় হামলা চালানো হয় বলে তাদের দাবি।
দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন বলেন, ‘যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান দলীয় নীতি বিরুদ্ধ কাজ করেছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি। এজন্য কেন্দ্রীয় যুবদল তাকে বহিষ্কার করেছে।
কেকে/এআর