গাজীপুরের কালীগঞ্জকে ‘জঙ্গল’ বলায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দীন খানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় নাসির উদ্দীনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ইয়ুথ অ্যাক্টিভিস্ট রানা সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে কালীগঞ্জের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সংগ্রামী পরিচয়কে ‘জঙ্গল’ বলে অপমান করার প্রতিবাদে সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। তারা মুফতি নাসির উদ্দীন খানকে কালীগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও বয়কটের আহ্বান জানায়।
জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গাজীপুর-২ ও গাজীপুর-৬ আসনের সীমানা জটিলতা প্রসঙ্গে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাসির উদ্দীন খান। এ সময় তিনি কালীগঞ্জকে ‘জঙ্গল’ আখ্যা দেন। মুহূর্তেই তার সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ঘটনার পর তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া রানা সরকার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “কালীগঞ্জবাসীর কাছে ক্ষমা না চাইলে কালীগঞ্জের সব জঙ্গল কেটে আপনার পেছনে ঢুকিয়ে দিবে জেনজি সমাজ। দ্রুত ক্ষমা চান, না হলে এমন অনলাইন প্রচারণা শুরু হবে যে পূবাইলের বেলাই বিল দিয়ে লেংটা হয়ে পালাতে হবে।”
মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম নামের আরেকজন লিখেছেন, “শহরের মানুষ নাকি জঙ্গলের সাথে থাকতে চায় না! একদিন সময় করে কালীগঞ্জে আসেন, দাওয়াত রইল এক কাপ চায়ের। মনে রাখবেন, জঙ্গলই মঙ্গল।”
শরিফুল ইসলাম তুহিন সতর্ক করে দেন, “আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কালীগঞ্জবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তরুণ সমাজ কঠিন জবাব দেবে ইনশাআল্লাহ।”
সমালোচনার মুখে নাসির উদ্দীন খান নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে কালীগঞ্জবাসীর দাবি- শুধু অনলাইনে নয়, প্রকাশ্যে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।
কেকে/ এমএ