চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম খাইরুল ইসলাম। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসা পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজ মোড় হয়ে বাড়ি ফিরছিল এক স্কুলছাত্রী। এ সময় কৌশলে তাকে একটি ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যায় খাইরুল। পরে রাত ১টার দিকে পৌর এলাকার সুমিরদিয়ায় একটি হলুদ ও আমবাগানে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় চিৎকার দিলে মেয়ের মুখ চেপে ধরে এবং ভয়ভীতি প্রদান করে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে মাদরাসার পেছনে বিলের মধ্যে মেয়েকে দেখতে পায় তার বাবা। পরে তাকে বাড়ি নিয়ে আসে। ঘটনার পরদিন স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু ও নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, ধর্ষণ মামলাটি আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় আমামী খাইরুলের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছে।
কেকে/ আরআই