বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেযা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী।
তারা হলেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান, দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অভিজিৎ ঘোষ।
জানা যায়, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষকদের প্রকাশনা এবং এই প্রকাশনা পরবর্তী সেগুলোর ব্যবহার ও প্রভাব বিবেচনা করে বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ গবেষকের তালিকা প্রকাশ করেছে। গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখ যোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁরা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের এবং শিক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বড় পাওয়া। এজন্য যারা আমাকে সহযোগিতা করছে আমার ছাত্র-ছাত্রীরা ও আমার শিক্ষার্থীরা ল্যাবে যারা আমাকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করছে তাদের কাছে আমি ঋণি। এবারের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুইজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী আছেন। আমি আশা করি আগামীতে এই সংখ্যাটা আরো বাড়বে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক গৌরবের এবং আনন্দের, সামনের দিনগুলোতে এখানে অনেকে জায়গা করেনি এটাই কামনা করি।
ড. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, তরুণদের বলব, কঠোর পরিশ্রম করো, সাফল্য আসবে। গবেষণাকে আবেগ হিসেবে নাও, সফলতা তোমাকে খুঁজে পাবে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন, জল সম্পদ ও ভূগর্ভস্থ জলের গবেষণায় আমি শীর্ষ অবস্থানে আছি।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই গৌরবোজ্জ্বল অর্জনকে স্বীকৃতি জানিয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, ড. তৌফিকুল ইসলামের গবেষণা বেরোবি ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
উল্লেখ্য যে, ড. তৌফিকুল ইসলাম টানা চতুর্থবার বিশ্বের শীর্ষ গবেষকের তালিকায় স্থান পেলেন। এই তালিকায় স্থান পাওয়ার মূল্যায়নের ভিত্তি হলো গবেষকদের গুগল স্কলার প্রোফাইলের এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স এবং সাইটেশন স্কোর।
কেকে/ এমএস