ঢাকার ধামরাইয়ে র্যাব পরিচয়ে প্রাইভেটকারে তুলে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধামরাইয়ের বরাটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এনামুল হক ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, বুধবার দুপুরে কালামপুর ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফিরছিলেন এনামুল হক ও তার চাচা শফিকুল ইসলাম। তারা মোটরসাইকেলযোগে বরাটিয়া এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেটকার তাদের গতিরোধ করে। নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি এনামুল ও শফিকুলকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তোলে।
এ সময় তাদের চোখ বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন এনামুল হক। পরে তাদের কাছে থাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে সুতিপাড়া এলাকায় ফাঁকা জায়গায় তাদের ফেলে রেখে যায়।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-খ-৪৭-৭৩৪৩।
মো. এনামুল হক বলেন, ‘বুধবার কালামপুর ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা তুলি সকাল ১০টা ২১ মিনিটের দিকে। নিচে আমার বাইক ছিল। আমি আর আমার কাকা ছিলাম। আমরা রওনা হই শ্রীরামপুর আমার বাসার উদ্দেশ্যে। একপর্যায়ে যখন বরাটিয়া মাদরাসা পার করি, মোড়ে একটা গাড়ি এসে আমাদের পথরোধ করে এবং সেখান থেকে চারজন নামে। তাদের গায়ে র্যাবের পোশাক পরা ছিল। আমাদের বলে, তোরা গাড়ি কিভাবে চালাস? বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে গাড়িতে তুলে ফেলে। এরপর হাত বাঁধে, পেছনে হাত বেঁধে ফেলে ও চোখ বাধে। এরপর ১৫ মিনিট আমাদের ঘুরায়। তারপর আমাদের মারধর করে। এক সময় টাকা নিয়ে নেয়। তারপর আধা ঘণ্টা ঘুরাতে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ এক জায়গায় আমাদের নামিয়ে দেয়। নামানোর পর নানা কথা বলে। পিছনে তাকালে গুলি করবে বলে। তাদের হাতে পিস্তল ছিল। আমরা এই ভয়ে সামনে হাঁটতে থাকি। পরে এলাকাবাসীর সাহায্য নিয়ে জানতে পারি, এটা সুতিপাড়া। পরে আমরা মহাসড়কে আসি। এমনকি যেখান থেকে ধরেছে, সেখানে এসে মোটরসাইকেল ফেরত পাই। পরে থানায় অভিযোগ করি। পুলিশ আমাদের সঙ্গে আসে। পরে ফুটেজ দেখি। এরমধ্যে ৮ নম্বর ক্যামেরার ফুটেজ সমস্যা ছিল। ফলে আমাদের টাকা তোলার ফুটেজ পাইনি। যা হোক, এরপর আরও সিসিটিভি চেক করি। একপর্যায়ে একটা জায়গায় সিসিটিভি ফুটেজ পাই ও গাড়ির নাম্বার (ঢাকা মেট্রো খ ৪৭৭৩৪৩) পাই। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। টাকা ফেরত চাই। এই চক্রের শাস্তি চাই।’
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে একটি প্রাইভেটকারসহ একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। যেহেতু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এখনই নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।”
কেকে/ এমএ