ঢাকার কেরানীগঞ্জের আটি পাঁচদোনা এলাকায় আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. তাজিম।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তাজিম অভিযোগ করেন, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও দোকানের সম্পত্তি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনায় রফিকুল ইসলাম সাজানো নাটক তৈরি করেছেন। এ জন্য তিনি দোকানের সামনে ময়লা আবর্জনা ফেলে, সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে নিজেই গাড়িতে আগুন লাগান। পরে ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালান।
তিনি আরো বলেন, “রফিকুল ইসলাম প্রায় সাত-আট বছর ধরে ভাড়া দেননি। ভাড়াটিয়া হয়েও এখন মালিকানা দাবি করছে। জীবিত মূল মালিককে পাশ কাটিয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।”
তাজিম অভিযোগ করেন, রফিকুল ইসলাম আদালতে জমি সংক্রান্ত মামলায় হেরে গিয়ে নিজের মালামাল রাস্তায় ফেলে আগুন দিয়ে এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির ভুয়া দাবি তুলেছেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে সিসি ক্যামেরা বন্ধ রাখার পাশাপাশি তার দৃষ্টিহীন বাবা নাজিম উদ্দিনকেও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা হলেও রফিকুল ইসলাম আগে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব এবং বর্তমানে স্থানীয় এক শীর্ষ শ্রমিকদল নেতার প্রভাব খাটিয়ে দখল বজায় রাখছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় তিনি গত ১১ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে করা জিডির ভিত্তিতে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে রফিকুল ইসলাম গ্রেফতার হন। বর্তমানে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে মো. তাজিম নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং রফিকুল ইসলামের যাবতীয় ষড়যন্ত্র জনসম্মুখে তুলে ধরেন।
কেকে/এআর