নীলফামারী জেলায় সকালে বিপৎসীমা অতিক্রম করে বিকালে কমেছে তিস্তা নদীর পানি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর পানি কমে বিকাল তিনটায় বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচে নামে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি সোমবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর তিন ঘণ্টার ব্যবধানে পানি কমে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার নিচে নামে।
এর আগে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সেখানে বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুই দিন ধরে তিস্তা তীরবর্তী ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে। তবে বাড়ি-ঘরে পানি ওঠেনি।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার সকালে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে। বিকালে পানি কমায় এসব এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। সোমবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকাল তিনটায় বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচে নামে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
কেকে/ এমএ