রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার চর হরিনাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র নাজমুল হোসেন। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার প্রতি তার প্রবল আগ্রহ। স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হবেন, মানুষের সেবা করবেন। কিন্তু আজ সেই স্বপ্ন থেমে যেতে বসেছে- শুধু অর্থের অভাবে। মাত্র ১৪ বছর বয়সী এই কিশোর বর্তমানে দূরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। প্রতিদিন মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখছে নাজমুল, অথচ সে এখনও বাঁচতে চায়, নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চায়।
নাজমুলের বাড়ি পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ গ্রামে। তার বাবা মো. ইসলাম মন্ডল একজন ভ্যানচালক। দিনমজুরির সামান্য আয়ে সংসারের খরচ চালানোই যেখানে কষ্টকর, সেখানে ক্যানসারের মতো জটিল রোগের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা পরিবারের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত রাজধানীর একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
নাজমুলের নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকালে বোঝা যায়- সে এখনও বাঁচতে চায়, তারও স্বপ্ন আছে। এই স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে পরিবারটির আবেদন- সহৃদয় ও বিত্তবান মানুষ যদি যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে হয়তো নাজমুল আবারও নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে।
নাজমুলের বাবা ইসলাম মন্ডল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি সারা জীবন ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। ছেলেকে পড়াশোনা করিয়ে মানুষ বানানোর স্বপ্ন দেখতাম। এখন ছেলেকে বাঁচাতে টাকা দরকার, কিন্তু আমি অক্ষম। মানুষের সহায়তা ছাড়া ছেলেকে আর বাঁচানো সম্ভব নয়।’
নাজমুলের চিকিৎসার জন্য যারা সাহায্য করতে ইচ্ছুক, তারা বিকাশ নাম্বারে অর্থ পাঠাতে পারেন: বিকাশ নম্বর: ০১৮৭৪৮০২৩৫১ (নাজমুল হোসেনের পিতা মো. ইসলাম মন্ডল)।
কেকে/ এমএ