পরিবেশগত স্থায়িত্ব বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ। ‘গ্রিন জেনারেশন ২.০’ শিরোনামের এই কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ২০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে।
সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে জেসিআই বাংলাদেশ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। জেসিআই ঢাকা নর্থ ও জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেড যৌথভাবে এর আয়োজন করে। বনায়ন ও ব্লাডম্যান এই উদ্যোগে সহযোগিতা করছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি কাজী ফাহাদ। তিনি বলেন, “পরিবেশগত টেকসইতা জেসিআই’র অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার। এই দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের মাধ্যমে আমরা সম্প্রদায়গুলোকে একত্রিত করা, যুবসমাজকে ক্ষমতায়ন করা এবং একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব তৈরি করার লক্ষ্য রাখি, যা মানুষ ও পৃথিবী উভয়ের জন্যই উপকারী হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের সহসভাপতি মীর মোহাম্মদ আলী। তিনি বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব তুলে ধরেন।
এছাড়াও বক্তব্য দেন জাতীয় সহসভাপতি শাহরিয়ার হাসান জিসুন, জাতীয় সভাপতির উপদেষ্টা শেজান আজিম, বনায়ন প্রতিনিধি আবু সালমান আবদুল্লাহ, স্থানীয় সভাপতি ফাহমিদুর রহমান অনি এবং সুমাইয়া হক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সদস্যরা প্রথম চারা রোপণের মাধ্যমে প্রতীকীভাবে কর্মসূচির সূচনা করেন।
আয়োজকরা জানান, আগামী মাসগুলোতে স্থানীয় সরকার সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনগুলোর সহযোগিতায় শহর ও গ্রামে ২০ হাজার গাছ রোপণ করা হবে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উদ্যোগ, পরিবেশগত কর্মকাণ্ডে যুবকদের সম্পৃক্ততা এবং রোপণ করা গাছের দীর্ঘমেয়াদী পরিচর্যা নিশ্চিত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এছাড়া জেসিআই বাংলাদেশ বায়লা (বিএওয়াইএলএ), বিজিএমইএ (বিজিএমইএ), পুসাব (পিইউএসএবি) বিভিন্ন এনপিও ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গাছের চারা বিতরণ করবে।
এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জেসিআই’র বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য ‘ইতিবাচক পরিবর্তন’ সৃষ্টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং একইসঙ্গে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের জাতীয় লক্ষ্যকে সমর্থন করে।
জেসিআই বাংলাদেশ, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই)-এর অংশ হিসেবে তরুণদের নেতৃত্ব, সম্প্রদায় উন্নয়ন ও টেকসই প্রভাব তৈরিতে কাজ করে আসছে।
কেকে/এজে