রাজশাহী মহানগরীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক যুবতীকে (২২) গণধর্ষণের মামলার মূলহোতাসহ ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন উজিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হল চন্দ্রিমা থানাধীন উজিরপুর এলাকার মো. সাজ্জাদ আলীর ছেলে মূল হোতা আরিয়ান শাফী ওরফে আরিফ (২৬)। একই থানার ভদ্রা জামালপুর এলাকার মো. আলমের ছেলে শান্ত (২৫) ও মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার কাদিরগঞ্জ গ্রেটাররোড এলাকার মো. আসিফ হাসান সোহেলের ছেলে পিয়াম (২৫)।
রোববার বিকালে র্যাব-৫ রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব-৫ জানায়, ভুক্তভোগী যুবতীর (২২) সাথে মামলার আরিয়ান শাফীর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩০ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে আরিয়ান শাফী যুবতীকে নগরীর মতিহার থানার ভদ্রা ব্রিজের উপর দেখা করার কথা বলে ডাকে। যুবতী প্রেমের টানে সেখানে গেলে আরিয়ান শাফী তাকে বন্ধুর স্ত্রীর জন্মদিনের কেক কাটার কথা বলে একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রথমে যুবতী রাজি না হলেও প্রেমিকের অনুরোধে সে রিক্সায় করে যেতে রাজি হয়। ওই দিন বিকাল ৬টার দিকে তারা মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন কুমরপাড়া আলুপট্টি মোড়ের পদ্মা মন্দিরের সামনে অপর আসামি আজোয়াদ আব্দুল্লাহর বসতবাড়ির একটি রুমে যুবতীকে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়। এরপর আরিয়ান শাফী প্রথমে যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং অন্য আসামীরা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এরপর আসামী শান্ত ও পিয়াম জোরপূর্বক যুবতীকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে।
পরে তারা ঘটনার বিষয়ে প্রকাশ না করা জন্য যুবতীকে হুমকি দিয়ে একটি রিক্সায় তুলে দেয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর আরিয়ান শাফী মোবাইল ফোনের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে যুবতীকে জানায়, তার সাথে দেখা না করলে ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবে।
এ ঘটনায় যুবতী বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর র্যাবের তৎপরতায় রোববার ভোরে মামলার মূল হোতাসহ তিন আসামীকে গ্রেফতার করে র্যাব-৫।
রোববার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।
কেকে/ এমএ