গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ফেরেস্তোর মতো একঝাঁক তরুণ জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। সারাদেশের মানুষ তাদের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। জুলাইয়ের ৩৬দিনের সংগ্রামের পর বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। কিন্তু সকল আশা আকাঙ্খা বাস্তবায়ন হয়নি।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নাটোরের গাড়িখানায় জুলাই আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত শেষে শহরের ভবানীগঞ্জে নির্মিত জুলাই শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আদিলুর রহমান খান বলেন, এখনো বিচার ও সংস্কারের কাজ বাকি আছে। বিচারকে দৃশ্যমান করার প্রক্রিয়া চলছে এবং তা দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। সংস্কারও এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এরমধ্যে যে তৃতীয় কাজ নির্বাচন। সেই নির্বাচনেরও ঘোষণা এসেছে। অন্তবর্তিকালীন সরকার চেষ্টা করছে তাদের যে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে। কারণ এটা শুধু সরকার নয়। একটা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। তাই এই সরকার সকল অঙ্গিকার বাস্তবায়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এসময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরো বলেন, যে মুক্তির লক্ষে দেশের তরুণরা আলো জ্বালিয়েছিলেন, সে আলোর দিকে নিয়ে যেতে এই সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেজন্যই শহিদ পরিবারের সাথে একাত্বতা হওয়ার চেষ্টা বহাল রাখা হচ্ছে। ঢাকায় গণভবনে জুলাই যাদুঘরে সকল সংগ্রমের গাঁথা, ভয়াবহ স্মৃতি, সকল অন্যায়ের চিহ্নগুলো সংরক্ষণ করা হবে।
সারাদেশে যে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ তা শুধু শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য নয়, জুলাই যাদুঘরও এর অংশ। সারাদেশে শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তাদের কবরগুলো বাঁধানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। জুলাই যোদ্ধারা সূর্যসন্তান। এই সূর্য সন্তানদের জাতি সারাজীবন মনে রাখবে। তবে পরাজিত ফ্যাসিবাদ, পরাজিত হয়েছে বলে কেউ যেন মনে না করে তারা আর ষড়যন্ত্র করবে না। ষড়যন্ত্রও চলমান রয়েছে। ফ্যাসিবাদ বারে বারে ফিরে আসে, তাকে দমন করতে হয়। প্রতিহত করতে হয়। বাংলাদেশের তরুণ যুবক এবং জনগণ সেই ফ্যাসিবাদকে দমন করবে, প্রতিহত করবে। ৫ আগষ্ট যে লক্ষ্যে এই দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, সেই লক্ষ্য বজায় থাকবে।
জেলা প্রশাসক আসমা শাহিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
কেকে/ এমএস