যশোরে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার রাজারহাট বাজারের কেয়া খাবার হোটেলের সামনে মাদক ব্যবসায়ী তুষার ও তার সহযোগীদের হামলায় সিআইডির ৪ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) রয়েছেন।
জানা যায়, এসআই হাবিব, এসআই তরিকুল ইসলাম, এএসআই মো. জাহিদ হোসেন ও কনস্টেবল মো. শহিদুল ইসলাম নিয়ে গঠিত একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। তারা রামনগর ইউনিয়নের রাজারহাট গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ও রাজারহাট রামনগর এলাকার মাসুদ রানার ছেলে তুষারকে (২৭) আটক করে। আটক করার সঙ্গে সঙ্গেই তুষার উচ্চস্বরে চিৎকার শুরু করলে আশপাশ থেকে তার লোকজন ছুটে আসে।
স্থানীয়রা সিআইডির সদস্যদের ‘ভুয়া পুলিশ’ বলে সন্দেহ করে ঘিরে ধরে এবং তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সিআইডির বেশ কয়েকজন সদস্য আত্মরক্ষার্থে সরে যেতে সক্ষম হলেও কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে এবং মারধরের শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে আটক করে রাখা হয়। পরবর্তী কোতোয়ালি থানার এসআই অনুপ কুমারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে যশোর সিআইডি অফিসে নিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে।
অভিযানের আটক মাদক ব্যবসায়ী তুষারকে তার সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয়।
যশোর সিআইডির পুলিশ সুপার সিদ্দিকা বেগম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনার পর সিআইডির পক্ষ থেকে কোতোয়ালি মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাট ও আশপাশের এলাকায় তুষার ও তার চক্র মাদকের অবাধ ব্যবসায় চালিয়ে আসছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাধিকবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তারা রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোসাম্মৎ সিদ্দিকা বেগম বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
কেকে/ এমএ