সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানের করা সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন কুড়িগ্রামের জজ আদালত। এ সময় সিনিয়র আইনজীবী ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ ও পেশাগত কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ইসমত আরা জামিন না মঞ্জুর করে আসামিকে আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের সকল মিডিয়া কর্মীরা তথ্য ও ভিডিও চিএ সংগ্রহ করতে যায়। সাংবাদিকদের আর্দশিক কাজে বারবার বাঁধা প্রদান করেন সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের আইনজীবি ফখরুল ইসলাম। পরে এক পর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ক্যামেরা ভাঙ্গচুরের জন্য নিজে আক্রমণ চালায়।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাংবাদিক সমাজ হতভম্ব ও নির্বাক। তিনি নিজেকে অনেক প্রবীণ আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিলেও তার এমন কর্মকান্ডে জেলার সুশীল সমাজ তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহাফুজার রহমান টিউটর জানান, তিনি একজন আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে এজলাসের ভিতরে ভূমিকা পালন করতে পারেন। কিন্তু এজলাসের বাইরে তিনি আইন লঙ্ঘন করে সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্বে পালনে বাঁধা প্রদান করেন। আমরা কুড়িগ্রাম সাংবাদিক সমাজ তার এরকম কার্যের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবী ফখরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আপনাদেরতো শত শত ক্যামেরা ফুটেজ দেখেন—কে ক্যামেরা ভাঙ্গচুর করতে গিয়েছে? আপনারা তো সব ছবি দিয়ে ফেসবুকে দিয়েছেন। ক্যামেরা ভাঙ্গচুরের কথা এটা মিথ্যা ও ভিওিহীন। আমরা ভেসে আসি নাই, আমরা এই দিকে কাজ করি, আপনারা ওই দিকে কাজ করেন। এছাড়া কেন আপনি ফোন দিয়েছেন? কোন আইনে আপনি আমাকে ফোন দিয়েছেন? আপনারা সাংবাদিকরা কি দেশটা কিনে নিয়েছেন? না গোটা দেশটা ডমিনেট করতে চান, না আমরা আপনার রাজ্যে প্রজা?
এছাড়া সাংবাদিকদের যোগ্যতা নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
কেকে/এজে