কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ৫৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে ‘ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’-২০২৫ ও সনদ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ জন নারী শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ ভার্চুয়াল রুমে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম (পিএইচডি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ টি বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করা সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী ২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা মনোনীত হয়েছেন। ফার্মেসি বিভাগের পাঁচ বছর মেয়াদি কোর্স হওয়ায় ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকেও শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
এবার মোট ৪টি ক্যাটাগরিতে দেয়া হচ্ছে এই ‘ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’। ক্যাটাগরিতে রয়েছে- মেধাবী (স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী), মেধাবী (স্নাতকের দুই সেমিস্টারের সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী), মেধাবী ও অস্বচ্ছল (সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী ও অর্থনৈতিক ভাবে অস্বচ্ছল) এবং স্পোর্টস। মনোনীত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ জন ছেলে এবং ৪৩ জন মেয়ে রয়েছেন। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, তোমরা চিন্তাটা সীমাবদ্ধ রাখবে না। তোমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে কিংবা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক হবে এরকম চিন্তাধারা রাখিও না। এটা এক প্রকার গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ থাকা। তোমাদের গণ্ডীকে আরো ছড়িয়ে দিতে হবে। তোমরা দেশেও থাকবে এবং বাইরেও থাকবে। প্রথমত, তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমার একটাই কথা, আমরা লেখাপড়া শিখি বা না শিখি আমাদের প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, জিপিএ নির্ভর হলে চলবে না। পেয়ে গেছি এই আত্মতৃপ্তি নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। পথ এখনো বাকি আরো এগিয়ে যেতে হবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আসলে বৃত্তিটা শুধু অনুপ্রেরণা না, এটা হলো ভবিষ্যতে সত্য ও ন্যায়ের সাথে জীবন পরিচালনা করার পথ নির্দেশক। খারাপ কিছুকে ভালো কিছু দিয়ে জয় করবে। আমি আশা করবো তোমরা বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী ও মহর্ষীদের জীবনিগুলো পড়বে এবং তা অনুসরণ করবে। ধর্মীয় দিকনির্দেশনাগুলো মনে চলবে।
কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, আমি সবসময় মেধাবীদের কাছে একটু দূর্বল। তোমরা দেশ এবং পৃথিবীকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নিজেদেরকে গড়ে তোল। এখন গতানুগতিক ধারার জ্ঞানের তেমন প্রয়োজন পড়ে না কারণ এগুলো এখন চ্যাটবটগুলোই করে ফেলতে পারবে। এখন হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটির যুগ, নিজেদেরকে সৃজনশীলতায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষাজীবনে তোমরা সফল হয়েছো এটার প্রতিফলন যাতে তোমাদের কর্মজীবনেও ঘটে।
কেকে/ আরআই