রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারী বীজ বাজারে বিক্রিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সার বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান মৃধার কাছে এ অভিযোগ দেন উপজেলা কৃষি অফিসের সাবেক নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুর ইসলাম। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গঙ্গাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম কৃষকের কাছে লোকাল বীজ বিতরণ করেন এবং বিএডিসির বীজের প্যাকেট কেটে বস্তায় ভরে তা বাজারে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুর ইসলামের মাধ্যমে সিও বাজার থেকে বাফার গুদাম থেকে সার উপজেলায় এনে পরিবহন ব্যয় বেশি দেখিয়ে ভুয়া-বিল ভাউচার তৈরী করে টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য প্রশিক্ষনার্থীদের কাছে টাকা চাওয়া, নিরাপত্তা প্রহরীকে হয়রানি, বদলী করার অভিযোগও তোলা হয়।
অভিযোগকারী নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুর রহমান বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রকাশ হওয়ার ভয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমাকে গত ২৮ আগস্ট বদরগঞ্জে বদলী করেছেন। আমি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় আমাকে নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ দোষী কর্মকর্তার বিচার চাই।
এ ব্যাপার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী ষড়যন্ত্রকারী মহলের সাথে হাত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ দিয়েছে। আমার সততার কারণে সে সুবিধা করতে পারছে না। নিরাপত্তা প্রহরী মমিনুর প্রায় সময় অফিসারদের গালিগালাজসহ অপমান করে। মমিনুরের কর্মকান্ডের জন্য তাকে বদলী করা হয়েছে। সেই আক্রোশ থেকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু তিনি ক্যাডার কর্মকর্তা, তাই অভিযোগটি জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এনিয়ে এখন পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি হয়নি।
কেকে/ আরআই