স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বর্ষপূর্তির দিনটি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে ।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেট থেকে বর্ণাঢ্য র্যালীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। উপাচার্যের নেতৃত্বে র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। ঘোড়ার গাড়ি ও বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে র্যালিটি পার্কের মোড় শহিদ আবু সাঈদ চত্বর, মডার্ন মোড় হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই গণঅভ্যুত্থান এক গৌরবময় অধ্যায়। যে উদ্দেশ্য নিয়ে জুলাই আন্দোলন হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রসৈনিক শহিদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগ বিশ্বের বুকে বিরল ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, শহিদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগ ছিল এই আন্দোলনের উজ্জ্বল নিদর্শন, যা আজও তরুণ প্রজন্মের জন্য সংগ্রামের অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।
এ সময় তিনি জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন করা হচ্ছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর খেলার মাঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রীতি খেলার আয়োজন করা হয়। বিকালে বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুলাই শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আতশবাজি প্রদর্শন করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণ করে গান, কবিতা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করা হয়। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে তিন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটে। এই দিনটি পরবর্তীকালে ‘৩৬ জুলাই’ নামে পরিচিতি পায়। দিবসটি পালনে রাজধানীসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সরকারি ছুটির দিন। জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হয় দিবসটি।
কেকে/এআর