বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান ও সেকেন্ড ফোরামের সাবেক সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-উর-রশিদের মরদেহ চট্টগ্রামের অভিজাত চিটাগাং ক্লাব থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা রহস্য এবং প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
জানা গেছে, রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এসে চিটাগাং ক্লাবে অবস্থান করছিলেন। সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে তার কক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, সেনাবাহিনী, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), ক্রাইম সিন ইউনিটসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘আপাতত তার মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বর্তমানে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। পরিবারের অনুমতি সাপেক্ষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। এরপর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তারা চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন এবং ক্লাবে উপস্থিত রয়েছেন।
জানা যায়, হারুন-উর-রশিদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নের হাধুরখীল গ্রামে। সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালনকালে তিনি একজন সৎ, নীতিবান ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি ২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০২ সালের ১৬ জুন অবসরে যান।
অবসরের পর তিনি আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি হিসেবে যুক্ত হন। গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের মামলায় তাকে কারাগারেও যেতে হয়েছিল। এই মামলার একটি শুনানির জন্যই তিনি চট্টগ্রামে এসেছিলেন বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাবেক সেনাপ্রধানের হঠাৎ মৃত্যুতে সামরিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কেকে/ এমএস