র্যাব-১৩, সদর কোম্পানি এবং র্যাব-১, ব্যাটালিয়ন সদর ক্যাম্পের এক যৌথ অভিযানে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গণধর্ষণের পর গৃহবধূর আত্মহত্যা মামলার আসামি জুয়েল রানা (২২) গ্রেফতার হয়েছে।
জুয়েল রানা উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের পূর্ব রমাকান্ত গাউছিয়া বাজার এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
বুধবার (৩০ জুলাই) আনুমানিক সাড়ে ৬টার সময় ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার সেক্টর-৪, হাউজ নং-১৩, রোড নং-৮, আলামিন কফিশপের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এক নারী রান্নার জন্য পাটশাক সংগ্রহের জন্য তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেতে গেলে সেখানে জুয়েল রানাসহ আরো কয়েকজন যুবক মিলে ওই নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও ধর্ষণের ভিডিও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে ধারণ করেন।
পরবর্তীতে অভিযুক্তরা ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ওই নারীকে জীবননাশের হুমকিসহ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। চক্ষুলজ্জার ভয়ে উক্ত ঘটনার বিষয়টি গোপন রাখলে অভিযুক্তরা ওই নারীকে বিভিন্ন সময়ে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য কু-প্রস্তাব দিত। এরই একপর্যায়ে গত ৭ জুলাই রাতে ওই নারীর শ্বশুর স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন ও গ্রাম পুলিশ নিয়ে তার বাড়িতে উঠান বৈঠকের আয়োজন করে এবং উঠান বৈঠকে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত প্রদানে ব্যর্থ হয়ে ভুক্তভোগী নারীকে গালিগালাজ করে আত্মহত্যা করতে বলেন।
এরই প্রেক্ষিতে গত ৯ জুলাই ওই নারী কিছু ট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় ওই নারীর পিতা গত ৯ জুলাই বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় ধর্ষণ,পর্নোগ্রাফিসহ আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।
কেকে/এএম