কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বেথরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসা. তাহমিনা রহমান স্কুলটির প্রধান শিক্ষিক সাদেকা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার স্বপ্নকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে প্রধান শিক্ষিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের মধ্যে এ ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, স্কুলটির সহকারী শিক্ষক মোসা. তাহমিনা রহমান মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বেথইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপসারণের চেষ্টা ও সহকারী শিক্ষকের পিতার রাজনৈতিক দলীয় প্রভাবে বহিরাগত ভাড়াটে লোকদের দ্বারা হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে গত ২৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকালে স্কুল প্রাঙ্গণে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা একটি মানববন্ধন করেন। গতকাল ৩০ জুলাই (বুধবার) সহকারী শিক্ষিক মোসা. তাহমিনা তাহমিনা রহমান সেই মানববন্ধনের প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলনে করেন।
অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তাহমিনা রহমান যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনেছেন,—তা স্পষ্টতই কোনো প্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মূলত তদন্তের আগে জনমত প্রভাবিত করার অপচেষ্টা। তার বক্তব্যে নানা অসংলগ্নতা রয়েছে। তিনি যেখানে ‘বদলির চাপ’ এর কথা বলেন, সেখানে কোনো লিখিত বদলির আদেশ বা পত্র দেখাতে পারেননি। বরং এ অভিযোগ থেকে স্পষ্ট তিনি নিজের দায়ভার এড়িয়ে ‘ভিকটিম কার্ড’ খেলতে চাইছেন।
একজন অভিভাবক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘যে শিক্ষক নিজের সহকর্মীকে বদনাম করতে সংবাদ সম্মেলন করে, সে আমাদের সন্তানদের কী শেখাবে? তাহমিনা রহমান স্কুলের পরিবেশ ধ্বংস করছেন এখনই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে পুরো প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়বে।’
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নেতৃত্বশূন্য ও বিশৃঙ্খল করতে পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। শিক্ষা অফিসের উচিত প্রকৃত তদন্ত করে দুই জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যাতে ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ও সম্মানহানিকর ঘটনা আর না ঘটে।
এ বিষয়ে কটিয়াদি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমনটা হয়েছে। আমি এখানে মাত্র দুইমাস হয়েছে এসেছি। আমি মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে স্কুলটিতে দুইদিন গিয়েছি এবং বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ সহকারী শিক্ষিক তাহমিনা রহমান কেনো সংবাদ সম্মেলন করেছেন—সেটা আমার জানা নেই। তবে দ্রুত তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এজে